ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

লিটনের ফিফটি, এবাদত-শরিফুলে মান রক্ষা বাংলার

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২২ ১২:২৪

৫৩ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ছবি: গেটি ইমেজ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ছবি: গেটি ইমেজ

নট আউট ডেস্কঃ তামিমের ব্যাটে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের। মাঝে ক্যারিবীয় পেসারদের দাপটে ধস নামে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে। তবে ধারাবাহিক লিটনের মুগ্ধতা ছড়ানো ব্যাটিংয়ে লড়াই করে বাংলাদেশ। শেষ দিকে শরিফুল-এবাদতের ব্যাটসম্যান (পড়ুন ব্যাটার) হয়ে উঠার দিনে মান বাঁচে বাংলার। শেষ পর্যন্ত সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে থেমেছে ২৩৪ রানে। টেস্টে নিজের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরির দিনে লিটন করেন ৫৩ রান। তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ রান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে শরিফুল ২৬ ও এবাদত করেন ২১ রান।

সেন্ট লুসিয়ায় এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই পরিবর্তনের ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে, দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল জয়ের ব্যাটে শুরুটা সাবধানী করেন। এই দু'জনের দৃঢ়তায় দিনের প্রথম ঘণ্টায় কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান জড়ো করেন দু'জনে।

এরপরেই টাইগার শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানেন অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপ। নিজের অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় বলেই মাহমুদুল জয়কে ক্লিন বোল্ড করেন এই পেসার। তাতেই দিনের প্রথম সাফল্য পায় ক্যারিবীয়রা। এরপর দলের হাল ধরেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল শান্ত। এই দুজনের ব্যাটে দলীয় পঞ্চাশ পার করে বাংলাদেশ। দিনের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাট করা তামিম এদিন ব্যাটিং করেন বেশ সাবলীল। তাতেই ওভার প্রতি তিনের আশেপাশে রান তুলতে থাকে বাংলাদেশ। 

মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে হঠাৎই খেই হারায় তামিম। তাতেই হাফ সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থেকে সাজঘরে ফিরেন এই ড্যাশিং ওপেনার। ৯ চারে ৬৭ বলে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। এরপর এনামুলকে নিয়ে প্রথম সেশনে দলকে আর চাপে পড়তে দেয়নি শান্ত। দুজনের ব্যাটে চড়েই ৭৭ রান তুলে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। ৩ চারে ৪৫ বলে ১৬ রানে অপরাজিত আছেন শান্ত। ১৩ বলে ৫ রানে ব্যাট করছেন এনামুল। 

বিরতি থেকে ফিরে শান্ত-বিজয়ের ব্যাটে দলীয় একশ পার করে বাংলাদেশ। তবে এরপরেই টাইগারদের লাগাম টেনে ধরে ক্যারিবীয় পেসাররা। দলীয় ১০৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন দুই সেট ব্যাটার নাজমুল শান্ত ও এনামুল বিজয়। শান্ত করেন ২৬ রান, প্রতাবর্তনে বিজয় খেলেন ২৩ রানের ইনিংস। এরপর অধিনায়ক সাকিবও ফিরেন সিঙ্গেল ডিজিটের ঘরে। অধিনায়ক সাকিবের দেখানো পথে হাঁটেন নুরুল হাসান সোহানও। তাতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন ফিঁকে হয়ে যায় বাংলার। 

সপ্তম উইকেট জুটিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে চা বিরতিতে যান লিটন দাস। বিরতি থেকে ফিরেই সাজঘরের পথ ধরেন মিরাজ। এরপর একাই লড়াইটা করেন লিটন দাস। টেস্টে ধারাবাহিক লিটন এদিন গড়েছেন রেকর্ডও। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে চলতি বছর ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। তবে দলীয় ১৯১ রানের মাথায় লিটন ফিরলে শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের শেষ আশা টুকুও। তাতেই শঙ্কা জাগে দলীয় দুইশো পার করার আগেই গুটিয়ে যাওয়ার।

নবম উইকেটে এবাদত ও শরিফুল মিলে চড়াও হয়ে করতে থাকেন ব্যাট। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা শরিফুল ফিরলে ভাঙে ৩৬ রানের জুটি। এরপর খালেদকে ফিরিয়ে টাইগারদের কপিনের শেষ পেরেকটি মারেন সিলস। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা এবাদত অপরাজিত থাকেন ২১ রানে। ৮ চারে ৭০ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৩ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করা শরিফুল করেন ২৬ রান।

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন সিলস ও জোসেফ। মায়ার্স ও ফিলিপের শিকার দুইটি করে উইকেট। 

 

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

প্রথম ওয়ানডেতে হোঁচট খেল বিসিবি একাদশ

ভারতের এমএ চিরাম্বরম স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ু ক্রিক...

ভারত সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ

৭৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের টার্গেটেই কঠিন বানিয়ে ফেলে ভারত।