ঢাকা | শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

আমিরাতে জয় ছাড়া আর কি পেল টাইগাররা?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৩৭

বাংলাদেশ ক্রিকেট। ফাইল ছবি বাংলাদেশ ক্রিকেট। ফাইল ছবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। আন্তর্জাতিক টি-২০ তে টানা হারের মাঝে থাকা দলটা স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে খেলেছে দুই ম্যাচের সিরিজ। 

আন্তর্জাতিক টি-২০ তে হন্যে হয়ে জয় খুঁজতে থাকা বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারে। কারণ মরুর বুকে পাওয়া গেছে জয়ের প্রশান্তি। আমিরাতের বিপক্ষে ২-০ তে সিরিজ জিতে বুধবার দেশে ফিরেছে টাইগাররা।

কিন্তু আমিরাত থেকে কি নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ দল? শুধু কি জয়? 

দুই ম্যাচের সিরিজে পারফরম্যান্সে চোখ রাখলে স্পষ্ট হয়ে যায় জয় ছাড়া কিছু পায়নি বাংলাদেশ। শুধু জয়টা নিয়েই ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। কারণ পারফরম্যান্সে বলার মতো উন্নতি যে নেই।

প্রতিপক্ষ ছিল আইসিসি সহযোগী আরব আমিরাত, র‌্যাংকিংয়ে যাদের অবস্থান ১৪। এই দলটাই কিনা কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অল্পের জন্য হারের লজ্জা থেকে বেঁচে গেছে টাইগাররা।

শুধু অনভিজ্ঞতার কারণে হেরেছে আমিরাত। আমিরাতের দলটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে ক্রিকেটের মানচিত্রে বাংলাদেশ খুব দূরে নয় তারা। টেস্ট খেলুড়ে দেশ, অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকায় সিরিজটা জিতে গেছে বাংলাদেশ।

দুবাই স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে ৭ রানের পর মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে আমিরাতকে ৩২ রানে হারায় বাংলাদেশ। 

দুই ম্যাচে টেস্ট জাতি হিসেবে আমিরাতের দলটার উপর দাপট দেখাতে পারেনি সফরকারীরা। বরং বারবারই স্বাগতিকরা চাপে ফেলেছে বাংলাদেশকে। আফিফ হোসেন ধ্রুব ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই স্বাবলীল ছিলেন না। এত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতার পরও আমিরাতের বোলারদের সামনে ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক হতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।

কিন্তু উল্টো দিক থেকে আবার আমিরাতের ওপেনার ওয়াসিম, রিজওয়ান, বাসিলরা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বোলিং সামলানো খুব কঠিন কিছু নয়। গতকাল তাদের পেসার জাহুর খান, জাওয়ার ফরিদরা স্লোয়ার দিয়ে আটকে দিয়েছেন সোহান, ইয়াসিরকে। সব মিলিয়ে স্বাগতিকদের সামনে ইতিবাচক অনেক কিছু আছে এই সিরিজে।

দুই ম্যাচে আফিফ ৯৫, মিরাজ ৫৮, লিটন ৩৮, ইয়াসির ২৫, মোসাদ্দেক ৩০, সোহান ৫৪ ও সাব্বির ১২ রান করেছেন। এই দলটার বিপক্ষে সাব্বির, মোসাদ্দেকের স্ট্রাইক রেট ১০০। সোহান সর্বোচ্চ ১৫৪.২৮, আফিফ ১৪৬.১৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। লিটন ১৩৫.৭১, ইয়াসির আলী ১২৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেন। খুব স্পষ্ট যে, প্রতিপক্ষ ছোট হলেও তাদের উপর চড়াও হওয়ার সামর্থ্য নেই ব্যাটসম্যানদের। টি-২০’র মারকুটে ব্যাটিং তারা পারেন না, বোলার যেমনই হোক।

বোলিংয়ে সাইফউদ্দিন যাচ্ছে-তাই। তাকে বিশ্বকাপে বয়ে বেড়ানো হবে ভুল। এত নিম্নমানের বোলিং যে আমিরাতের ব্যাটসম্যানরাও তাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন। মুখস্ত বোলিংয়ে ২ ম্যাচে ৭ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে উইকেট শূন্য সাইফউদ্দিন। উইকেট ভালো হলে, স্পিন নির্ভরতা না থাকলেই নাসুমের বোলিং সাদামাটা। ৮ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে উইকেট পান মাত্র ১টি। 

মুস্তাফিজ ধারাবাহিকভাবেই খারাপ বোলিং করছেন। আগের মতো কার্যকারিতা তার বোলিংয়ে নেই। অটোমেটিক চয়েস আর নন তিনি, কাটারের ধার কমেছে, এবার একাদশে অনিয়মিত হওয়াও সময়ের দাবি। শরীফুলের বোলিংয়েও আশা জাগানিয়া কিছু নেই। সে তুলনায় তাসকিন, এবাদতরা গতি-বাউন্স দিয়ে পার্থক্য দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।

 

-নট আউট/এমজেএ/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

প্রথম ওয়ানডেতে হোঁচট খেল বিসিবি একাদশ

ভারতের এমএ চিরাম্বরম স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ু ক্রিক...

ভারত সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ

৭৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের টার্গেটেই কঠিন বানিয়ে ফেলে ভারত।