শান্ত থাকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ শরীফুল
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৩ ১৭:০৩

নট আউট ডেস্কঃ প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লজ্জার হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে লিটন দাসের দল। উড়তে থাকা আফগানদের মাটিতে নামানোর নেপথ্যে ছিলেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আফগানদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে উঠা পঞ্চগড়ের এই পেসার হয়েছেন ম্যাচসেরা।
আগের দুই ম্যাচে একাদশেই ছিলেন না শরিফুল ইসলাম। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর ম্যাচে সুযোগ পেয়েই করেছেন বাজিমাত। ২২ বছর বয়সী এই পেসার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নিয়েছেন ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট। তাতেই আফগান ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ১২৬ রানে। পরে সাকিব-লিটনদের ব্যাটে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।
দলে মুস্তাফিজুর রহমানের মতো তারকা বাঁহাতি পেসার থাকতে একাদশে শরিফুল এখন অনিয়মিতই বলা চলে। সেই মুস্তাফিজের বদলে সুযোগ পেয়ে শরিফুল নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন তৃতীয় ওয়ানডেতে তা বলার অপেক্ষা আর রাখে না। হঠাৎ কী এমন হলো যে এভাবে আফগান টপ অর্ডারকে একাই শরিফুল দিয়েছেন গুঁড়িয়ে? প্রতি উইকেটেই যেন বাড়তি একটা জেদ লক্ষ্য করা গেছে শরিফুলের চোখে মুখে। সংবাদ সম্মেলনেও স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে সে প্রশ্ন।
জবাবে শরিফুল বলেছেন, ‘না। জেদ ছিল না। আমি অনুশীলনে যেমন চেষ্টা করছিলাম ম্যাচেও তেমনি চেষ্টা করেছি। বডি ল্যাংগুয়েজটা চলে আসে। ড্রেসিংরুমে গিয়ে ভাবি যে, এমন করা যাবে না। কিন্তু তবুও অটোমেটিক চলে আসে।’
ক্যারিয়ারে এর আগে দুইবার ম্যাচে ৪ উইকেট করে পেয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধরাই থেকে গেছে ৫ উইকেট পাওয়া। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতেও সুযোগ ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইপারের। পায়ে টান না পড়লে সেই সম্ভাবনাও ছিল। জোড়ালো।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘চেষ্টা (৫ উইকেটের) তো ছিল। কিন্তু দেখছিলাম ক্র্যাম্প করছে। আামি যদি জোরে বল করতাম, ইনজুরিতে পড়তে পারতাম। এদিকে লুজ বল হলে বাউন্ডারি হয়ে যেতো। আমি চেষ্টা করেছি।’
-নট আউট/টিএ
প্রথম ওয়ানডেতে হোঁচট খেল বিসিবি একাদশ
ভারতের এমএ চিরাম্বরম স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ু ক্রিক...

ভারত সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ
৭৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের টার্গেটেই কঠিন বানিয়ে ফেলে ভারত।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: