ভালোবাসতে বাধ্য করলেন তাসকিন
প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:২৬

মশিউর রহমান শাওনঃ বাংলাদেশের সংগ্রামী ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যা জায়গা করেছে নিয়েছে সকলের হৃদয়ের গহীনে। নিজ ভাষার জন্য জীবন দান কিংবা দেশমাতৃকার রক্ষায় বীরের বেশে মৃত্যুবরণ সবই অনন্য অনবদ্য। ক্রিকেট নামক খেলায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জন দেখিয়েছেন দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত। টাইগার শিবিরে এমন কাউকে খুঁজলে সবার প্রথমে মাশরাফির নাম আসবে এটি স্বাভাবিক। তবে এর পরে কে এমন এক প্রশ্নে উঠে আসবে আরও বেশকয়েকজনের নাম। কিন্তু টাকা ও ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে দেশের জন্য খেলা তাসকিন বর্তমান ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দুতে।
চলমান আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে চার বোলার নিয়ে খেলতে নেমে একপ্রকার বিভ্রান্তিতে পড়েছে পুরো দল। তারপরে তাসকিনের ইনজুরিতে ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে টাইগার শিবিরে। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ে এ অন্ধকারের ছাপ সকলের চোখে মুখে। আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিনকে আর বোলিং করানো হবে কিনা, তা নিয়ে ছিল ঘোর সংশয়। সংশয় থাকার যথেষ্ঠ কারনও ছিল। কারন কাঁধের ইনজুরিতে পরেছেন এই গতি তারকা। তবে অনবদ্য তাসকিন দেশের জন্য নিজের কষ্টকে ভুলে গিয়ে হাতে তুলে নিয়েছেন বল। করেছেন বাজিমাত। রক্ষা করেছেন পুরো দলকে।
এক সিরিজে দেশের জন্য এমন মহান ত্যাগ করে সকলের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়েছেন তাসকিন। অথচ ২০১৭ সালে এই আফ্রিকায় শুরু হয়েছিল ব্যক্তিগত ব্যর্থতা। সমালোচনা শুনতে হয়েছিল পুরো দেশের। এরপর সুযোগ মিলেনি বিশ্বকাপের মত আসরে। সেই মাদিবার রাষ্ট্রে বল হাতে যেমন মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন এই বোলার তেমনি ত্যাগ স্বীকার করে ভালোবাসতে বাধ্য করেছেন সকলকে।
তাসকিন দেশের ক্রিকেটের বড় সম্পদ। যদিও ইচ্ছে করে তাকে বোলিং করানোর খুব একটা ইচ্ছা ছিলনা ম্যানেজম্যান্টের। তবে বাধ্য হয়ে বল করাতে হয়েছে। বল হাতে দূরন্ত ছুটে ইনজুরিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ১১ ওভার বল করে তুলে নেন দুইটি উইকেট। যার বদৌলতে দ্রুত অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকের।
দেশের জন্য তাসকিনের এমন ত্যাগ যুগ থেকে যুগ মনে রাখতে হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। বলতে গেলে তাসকিন যেমন ভালোবাসতে বাধ্য করলেন ঠিক তেমনি মনে রাখতেও বাধ্য করেছেন মায়ার চাদরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তাসকিন বন্দনা। তাসকিনের ত্যাগে মুক্ত সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন নিজেও। দলের বিপদের তাসকিন যেভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দলের জন্য তাতে ধন্যবাদ না দিয়ে উপায় বা কি সুজনের।
সিরিজ সমাপ্তি না করেই ৫ এপ্রিল দেশে ফিরবেন তাসকিন। একজন পেসারের সবচেয়ে বড় শত্রু ইনজুরি। তাসকিন ডানহাতের জাদুতে নিজ দলকে হাসিয়ে প্রতিপক্ষের স্বপ্নকে মলিন করে দেন। সেই ডান কাঁধেই দেখা দিয়েছে সমস্যা। সমস্যা কতটুুকু জটিল তা দেশে ফিরে এমআরআই করানোর পরেই বোঝা যাবে। তাসকিনকে নিয়ে কোটি মানুষের হয়তো বর্তমান প্রার্থনা খুব বেশিদিন যেন মাঠের বাইরে থাকতে না হয় দেশের এই সম্পদকে। কারন চলতি বছরে রয়েছে এশিয়া কাপ ও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক আসরে তাসকিনের বড্ড প্রয়োজন এটি আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই। বলার কোন সুযোগ রাখেননি তাসকিন নিজেই৷
-নট আউট/এমআরএস/টিএ
তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....
বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!
শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

এবার মাদিবার রাষ্ট্রে হোক সাম্রাজ্য উদ্ধার
২০২০ সালের পরের ব্যাচ ট্রফি ধরে রাখার কাজটি করতে পারেনি। তবে এবার সাম্রাজ্য উদ্ধারের...

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: