হেসেখেলেই বাংলাদেশকে হারাল কিউইরা

নট আউট ডেস্কঃ সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদের ব্যাটে আগে ব্যাট করে ২৪৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করেছিল বাংলাদেশ। চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের জন্য এই লক্ষ্য খুব বড় ছিল না। তবে শুরুর দিকে মোস্তাফিজ-শরিফুলরা দেখিয়েছিল খানিকটা আশার। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন কিউইদের রাখেন লড়াইয়ে। চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর ফেরা কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট এদিন হেসেছে। শেষ দিকে ড্যারিল মিচেলের মারকুটে ইনিংসে হেসেখেলেই জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। 

২৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে শুরুতেই ছেপে ধরেন দুই টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। ফলটাও এসেছে তাই দ্রুত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ইনফর্ম রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর কিউইদের হাল ধরেন ডেভন কনওয়ে ও চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর ফেরা কেন উইলিয়ামসন। শরিফুল-মোস্তাফিজের নিয়ন্ত্রণকারী বোলিংয়ে দু'জনই খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। 

এর মাঝেই এই দু'জনকে ফেরানোর একাধিক সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। জীবন পেয়েই ক্রিজে থিতু হয়েছেন কনওয়ে-উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় উইকেটে এই দু'জন গড়েন অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। তাতেই ক্রমশ ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে বাংলাদেশ। দলীয় একশ পার করার আগে কনওয়ে ফিরেন সাকিবের শিকার হয়ে। ফেরার আগে ৩ চারে এই কিউই ওপেনার করেন ৪৫ রান।

কনওয়ের বিদায়ের পর নেমেই আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকেন ড্যারিল মিচেল। অন্যপ্রান্তে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কেন উইলিয়ামসন। এরপর এই দু'জনের ব্যাটে চড়েই জয়ের পথে থাকে নিউজিল্যান্ড। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ড্যারিল মিচেলও। প্রত্যাবর্তনে সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল কেন উইলিয়ামসনের সামনে। যদিও হাতে চোট পেয়ে কিউই অধিনায়ককে এদিন ফিরতে হয়েছিল রিটায়ার্ড আউট হয়ে। 

মাঠ ছাড়ার আগে কেন উইলিয়ামসন খেলেন ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭৮ রানের ইনিংস। এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে রেখেই বড় জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন ড্যারিল মিচেল। ১টি করে চার ও ছক্কায় ফিলিপসের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।

এর আগে ব্যাট করে ইনিংসের প্রথম বলেই বাংলাদেশ হারায় ওপেনার লিটন দাসের উইকেট। এরপর তানজিদ তামিম, মেহেদী মিরাজরাও হয়েছেন ব্যর্থ। তাতেই বোর্ডে পঞ্চাশ পার করতে বাংলাদেশ হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এই দু'জনের ব্যাটে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ। 

দু'জন মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। তাতেই লড়াইয়ে ফিরে বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। এরপর সাকিবের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ৩ চার ও ২ ছক্কায় সাকিব করেন ৪০ রান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মুশফিকও যেতে পারেননি খুব একটা। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ফিরেন ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে। শেষ দিকে রিয়াদের ব্যাটে চড়ে মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। 

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ২৪৫ রান। ২টি করে চার ও ছক্কায় রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ৪১ রান করে। তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ২ ছক্কায় ১৭ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩ উইকেট নেন লুকি ফার্গুসন। ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি নেন ২ উইকেট করে।

-নট আউট/টিএ