শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে তীরে এসে তরী ডুবাল আইরিশরা
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২২ ২০:১৫

নট আউট ডেস্কঃ ডাবলিনে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বড় বাঁচা বেচেছে সফরকারী ভারত। রান উৎসবের ম্যাচে, রানের পাহাড় গড়েছিল সফরকারীরা। জবাবে ভারতীয় বোলারদের নাকানিচুবানি খাইয়ে জয়টা প্রায় পেয়েই যায় স্বাগতিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত তীরে এসেই তরী ডোবে আয়ারল্যান্ডের, তাতেই বড় অঘটনের হাত থেকে বেঁচে ফিরে হার্দিক পান্ডিয়ার ভারত।
এদিন আগে ব্যাট করে দীপক হুদার সেঞ্চুরি ও সঞ্জু স্যামসনের হাফ সেঞ্চুরিতে ২২৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। জবাবে দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বার্লবার্নির ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু করে আয়ারল্যান্ড। জয়ের জন্য শেষ ওভারে দলটির প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। ভারতীয় নয়া তারকা উমরান মালিকের ওই ওভারে ১২ রানের বেশি তুলতে পারেনি আইরিশরা। তাতেই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৪ রানে জয় পায় ভারত। এই জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজ ২-০ তে জিতে নেয় সফরকারীরা।
ডাবলিনে এদিন ভারতের রানের পাহাড় টপকাতে নেমে, ওপেনার পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে দুর্ধর্ষ শুরু করে আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হয়ে রান তুলতে থাকেন এই ওপেনার। তাতেই মাত্র ৪ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ করে স্বাগতিকরা। এরপর পল স্টার্লিংয়ের এই ঝড় থামান ভারতীয় স্পিনার রবী বিষ্ণু। দলীয় ৭২ রানের মাথায় এই ওপেনারকে বোল্ড করেন তিনি। তাতেই থামে ১৮ বলে ৪০ রান (৫ চার ও ৩ ছক্কা) করা স্টার্লিং ঝড়।
পরের ওভারেই রান আউটে কাটা পড়েন ডেলেনি। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বার্লবার্নি ও হ্যারি টেক্টর। দু'জন দ্রুত তুলতে থাকেন রান। তাতেই জয়ের স্বপ্ন বুনে আইরিশরা। এই দু'জনের ব্যাটে মাত্র ৯ ওভারেই দলীয় একশ পার করে তাঁরা। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বার্লবার্নি। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় হাফ সেঞ্চুরিয়ান বার্লবার্নিকে ফিরিয়ে ভারতীয় শিবিরের স্বস্তি ফেরান হার্শাল প্যাটেল। ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৩৭ বলে ৬০ রান করে ফিরেন আইরিশ অধিনায়ক। এরপর ট্রাকারও ফিরে যান দ্রুত।
পঞ্চম উইকেটে ডকরেলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর। দু'জন মিলে দলকে রাখেন কক্ষপথে। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ৭৯ রান। অসাধ্য সাধনের চেষ্টায় থাকা দুই আইরিশ ব্যাটার, রবি বিষ্ণুর করা ১৫তম ওভার থেকে তুলে নেয় ১৭ রান। পরের ওভারে এসেই ভুবনেশ্বর খরচ করেন ১০ রান। ফলে আইরিশদের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ ওভারে ৫২ রান। ১৭তম ওভারে ১৪ রান খরচ করেন হার্শাল প্যাটেল। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখন কিছুটা নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসে স্বাগতিকরা।
১৮তম ওভারে বল করতে এসে ম্যাচের পুরো মোড়টা ঘুরিয়ে দেন ভারতীয় অভিজ্ঞ পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। ওই ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে তুলে নেন হ্যারি টেক্টরের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ৫ চারে ২৮ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন টেক্টর। এরপর নেমেই ১৯তম ওভার হার্শাল প্যাটেলকে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৪ রান তুলে নেন মার্ক অ্যাডায়ার। তাতেই দলীয় দুইশোর গণ্ডি পেরোয় স্বাগতিকরা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দলটির প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। কাপ্তান পান্ডিয়া বলটা তুলে দেন আনকোরা উমরান মালিকের হাতে। ওভারের প্রথম বলটায় কোনো রান না দিলেও, মালিক দ্বিতীয় বলেই ওভারস্টেপিং করে, করে বসেন নো বল। ফ্রি হিটে চার মারার পর মার্ক অ্যাডায়ার চার মারেন পরের বলটাতেও। এতেই ম্যাচে ছড়ায় বাড়তি উত্তাপ। জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের শেষ ৩ বলে দরকার ৮ রান। তবে টানা দুই চার খেয়েই যেন হুশ ফিরে মালিকের। পরের দুই বল থেকে খরচ করেন মাত্র ২ রান। ফলে ১ বলে জিততে আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন পড়ে ৬ রান।
এরপর হয়নি অবিশ্বাস্য কিছু। মার্ক অ্যাডায়ারও হতে পারেননি রুপকথার নায়ক। উমরান মালিকের গতির কাছে পরাস্ত হয়ে নিতে পারে মাত্র ১ রান। তাতেই ৪ রানের কষ্টার্জিত জয় তুলে নেয় ভারত। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডকরেল। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১২ বলে ২৩ রান করেন মার্ক অ্যাডিয়ার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করে, ভারতের জার্সিতে দীপক হুদার প্রথম সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ২২৫ রান করে ভারত। ৫৭ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৪ রান করেছেন হুদা। দ্বিতীয় উইকেটে সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে হুদা গড়েন ১৭৬ রানের জুটি। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৪২ বলে ৭৭ রান করেন সঞ্জু। এছাড়া সূর্যকুমার ১৫ ও পান্ডিয়া খেলেন ১৩ রানের ইনিংস। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে তিনটি উইকেট নেন মার্ক অ্যাডিয়ার। জশুয়া লিটিল ও ক্রেইগ ইয়াংয়ের শিকার দুইটি করে উইকেট।
-নট আউট/টিএ
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: