ইসলাম আমার জীবনে, সবকিছুর উর্ধ্বে: মঈন
প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২২ ০১:২৭

নট আউট ডেস্কঃ মাস খানেক আগেও ইয়ন মরগ্যান ছিলেন ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটের নিয়মিত অধিনায়ক। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বাইশ গজেও৷ তবে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি। ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে না জানাতেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্য প্যানেলেও হয়ে গেছেন যুক্ত। তারই অংশ হিসেবে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডেতে মরগ্যান, ইনিংস বিরতিতে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী ও সবে হজ পালন করে ফেরা আদিল রশিদের নিয়েছেন একান্ত সাক্ষাৎকার।
স্কাই স্পোর্টসের বিশেষ এই আয়োজনে এই দুই মুসলিম ক্রিকেটার কথা বলেছেন হজের বিভিন্ন গুরুত্ব নিয়ে। এছাড়া ইসলাম সম্পর্কে মরগ্যানের করা প্রশ্নের উত্তর ও দিয়েছেন তাঁরা। যা রীতিমতো ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। এরপরেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন মঈন আলী-আদিল রশিদরা। তেমনি প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ইয়ন মরগ্যানও।
কয়েকদিন আগে হজ করতে গিয়েছিলেন ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদ, এর আগে হজ করেছেন মঈন আলীও। দু'জনের মুখেই এদিন মরগ্যান শুনলেন তাদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা। ওই সাক্ষাৎকারে মঈন আলী ইসলাম সম্পর্কে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
আলাপচারিতার শুরুতেই মরগ্যান জানতে চান, মঈনের কাছে ধর্মটা আসলে কী? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এটা সবকিছু। ইসলাম আমার জীবনে সবকিছুর চেয়ে এগিয়ে, সেটা ক্রিকেট হোক অথবা অন্য যেকোনো কিছু। শুধু আমার না, পরিবারের সবার কাছেই। কিন্তু এটা আমাদের অন্য কিছুতে লয়্যালিটি কমায় না। ইসলাম আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ। ’
এরপর হজ প্রসঙ্গ উঠতেই, মরগ্যান জানতে চান হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কেও। জবাবে মঈন বলেন, ‘হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আমরা ক্রিকেটার হিসেবে রোল মডেল অনেকের কাছে। মুসলমানদের কাছে রোল মডেল হচ্ছে আমাদের নবী।’
এ-সময় হজ করার অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করেন মঈন। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের বড় অভিজ্ঞতা ২১ বছর বয়সে হজ করতে পারা। সব মুসলমান একই কাপড় পরে আছে, তাই ধনী-গরীবের ব্যবধান থাকে না। হজ আপনাকে ধৈর্য শেখাবে আর এটা জীবনের সবকিছু বদলে দেবে।’
এদিকে সদ্য হজ করে ফেরা আদিল রশিদও করেছেন নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার। তিনি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। মুসলমান হিসেবে আমাদের আর্থিক, শারিরীক ও মানসিক সামর্থ্য থাকলে এটা করতেই হবে। আমি অনেকদিন ধরেই করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু আমি ক্রিকেট খেলায় হজ করা কিছুটা কঠিন। কিন্তু ইসিবি ও ইয়র্কশায়ার আমার জন্য এটাকে সহজ করে দিয়েছে। ’
-নট আউট/টিএ
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: