চাপের মুখেও মেজাজ না হারানো অধিনায়ক বাবর
‘ও আমাদের ক্যাপ্টেন কুল’
প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২ ০৫:১০

নট আউট ডেস্কঃ সম্রাট বাবর যেমন ভারত উপমহাদেশে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তেমনি পাক অধিনায়ক বাবর আজম যেন পুরো ক্রিকেট দুনিয়ায় সৃষ্টি করলেন নিজের সাম্রাজ্য। ব্যাটে রানের ফোয়ারা বইয়ে প্রিয় থেকে প্রিয়তম হয়ে উঠছে হরহামেশাই। আবার নেতৃত্ব গুণে জুটছে ক্যাপ্টেন কুল উপাধি। বাবরকে এমন উপাধি দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ।
মিয়াঁদাদ বলেন, আমাদের দলের সকলে এক হয়ে লড়াই করেছে। এই জয়ের কৃতিত্ব অবশ্যই ক্রিকেটারদের। আমাদের এক নম্বর অধিনায়ক বাবরের কৃতিত্বও কম নয়। ও আমাদের ক্যাপ্টেন কুল। কখনও মেজাজ হারায় না। দলকে নেতৃত্বও দিচ্ছে দুর্দান্ত ভাবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, নিজেও দারুণ খেলছে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
শ্রীলংকা সফরে প্রথম ম্যাচেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সাদা পোষাকে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতেছে বাবর আজমের দল। এছাড়াও গলে ৩০০ রানের অধিক টার্গেটে ব্যাট করে জয় পাওয়া একমাত্র দলটিও এখন পাকিস্তান।
আরও পড়ুনঃ নতুন টি-২০ অধিনায়ক সোহান, বিশ্রামে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক
পাকিস্তান ম্যাচ জয়ে যেমন হয়েছে রেকর্ড। তেমনি বাবরের দূর্দান্ত শতক না হলে সফরকারীরা প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে যেত ম্যাচ জয়ের দৌড় থেকে। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। টেলএন্ডারদের নিয়ে শতক হাকিয়ে ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিলেন বিপর্যয। দ্বিতীয় ইনিংসেও খেলেছেন অর্ধশতক রানের এক ইনিংস। জয়ে রেখেছেন বড় ধরনের অবদান। এছাড়াও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবলীলভাবেই। কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতেও হয়ে উঠছেন পটু।
যদিও মাস গত মার্চে ভিন্ন এক কারনে বাবরকে নেতৃত্ব ছাড়তে বলেছিলেন শোয়েব আক্তার। তবে বাবরকে দীর্ঘসময় নেতৃত্বে দেখতে চান মিয়াঁদাদ। নেতৃত্ব প্রসঙ্গে বলেন, বাবর এখন অনেক পরিণত। অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত বাবরকেই অধিনায়ক রাখা উচিত।
মাঠে প্রবল চাপের মুখেও বাবরকে মেজাজ হারাতে দেখা যায় না। পাকিস্তানের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার এর আগে তাঁর এই গুণের প্রশংসা করেছেন। এ বার মিয়াঁদাদও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাবরকে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বললেন।
-নট আউট/এমআরএস
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: