রান উৎসবের ম্যাচে বৃথা গেল মিলারের ঝড়ো সেঞ্চুরি
প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৪৪

নট আউট ডেস্কঃ জিতলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল স্বাগতিক ভারতের সামনে। অন্যদিকে সিরিজে টিকে থাকতে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যও ছিল না জয়ের কোন বিকল্প। এমন সমীকরণের ম্যাচে গোহাটিতে রান উৎসব করেছে দু'দলই। তবে শেষ হাসিটা হেসেছে স্বাগতিকরাই।
এদিন আগে ব্যাট করে কেএল রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবের বিধ্বংসী হাফ সেঞ্চুরিতে, নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিক ভারত। জবাবে ডেভিড মিলারের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি ও ডি ককের হাফ সেঞ্চুরিও পারেনি প্রোটিয়াদের হার এড়াতে। রান উৎসবের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২২১ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। ১৬ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজটাও জিতে নিলো স্বাগতিক ভারত।
রানের পাহাড় টপকাতে নেমে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে এদিন শুরুতেই বিপাকে ফেলেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। আগের ম্যাচেই রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরা প্রোটিয়া অধিনায়ক এদিনও ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই৷ তবে, ততক্ষণে সাত বল খরচ করে দলকে বিপদে ফেলার কাজটাও করে যান তিনি। এরপর রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফিরেন রাইলি রুশোও। দু'জনকেই ফেরান আর্শদীপ সিং।
শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম। কক একপ্রান্তে রানের জন্য সংগ্রাম করলেও, অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলেন মার্করাম। তবে সেই ঝড় ভয়ংকর হওয়ার আগেই ফিরেন অক্ষর প্যাটেলের শিকার হয়ে। ফেরার আগে মার্করাম খেলেন ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংস।
দলীয় পঞ্চাশ পার করার আগে তিন উইকেট হারানো, প্রোটিয়াদের পাড়ি দিতে হতো কঠিন পথই। চর্তুথ উইকেটে দলের হাল ধরে দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার ও ডি কক। ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হয়ে দ্রুতই রান তোলেন মিলার। তাতেই দলীয় একশ পেরোয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ২৫ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিলার। তবে অন্যপ্রান্তে ওয়ানডে মেজাজে খেলে দলের হারটা নিশ্চিত করতেই লড়াই করেন ডি কক।
শেষ দিকে অবশ্য চড়াও হয়েছে এই প্রোটিয়া ওপেনারের ব্যাট৷ তবে তার আগেই ম্যাচটা হেলে পড়ে স্বাগতিকদের দিকে। চর্তুথ উইকেটে এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন শতাধিক রানের জোটে খানিকটা ম্যাচে ফেরার আশা থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার। দ্রুত রান তোলে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন ডি কক। এই জুটিতেই দলীয় দুইশ পার করে সফরকারীরা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাঁদের প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিয়ে মিলারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেতে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। অক্ষর প্যাটেলকে পরপর দুই বলে দুই ছয় হাঁকিয়ে ৪৬ বলেই পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ২২১ রান তুলতে পারে সফরকারীরা৷ ১৬ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেয় ভারত। ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ৪৭ বলে ঝড়ো ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন মিলার। ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করে, নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ২৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল। ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা সূর্যকুমার, ৫টি করে চার ও ছক্কায় ২২ বলে খেলেন ঝড়ো ৬১ রানের ইনিংস। এছাড়া ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৪৩ ও দিনেশ কার্তিকের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুই উইকেট নেন কেশব মহারাজ।
-নট আউট/টিএ
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: