ট্রফি উদযাপনের সময় চান মঈন
প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৩

ঠাসা সূচিতে হতাশ ক্রিকেটাররা, তবে কি নিজস্ব গতি হারাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট?
তিনটি ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া এখন আমার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেবল আমার শরীর সায় দিচ্ছে না তা নয়, বরং টাইট সিডিউল এবং আমার কাছ থেকে যা আশা করা হচ্ছে সেটাও বড় কারণ। কথাগুলো ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের। গেল জুলাইয়ে ওয়ানডে সংস্করণকে বিদায়কালে এমনটিই বলেছিলেন তিনি। বয়সের সংখ্যায় একত্রিশের ঘরে থাকা স্টোকস যদি পরিশ্রান্ত সৈনিক হয় তাহলে বাকিদের অবস্থা খুব একটা ভালো এমনটি ভাবার সুযোগ হয়তো খুবই কম।
আইসিসির ভবিষ্যত পরিকল্পনায় ঠাসা সূচি বিরক্তের কারন ক্রিকেটারদের কাছে। এই যেমন ইংলিশ আরেক অলরাউন্ডার মঈন আলী হতাশা প্রকাশ করেছেন। কেননা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের ৭২ ঘন্টা পড়েই খেলতে হবে ওয়ানডে সিরিজ। ট্রফি জয়ের উদযাপনও করা হচ্ছেনা ঠিকঠাকভাবে।
চাপা কষ্টে মঈন বলেন, ‘তিনদিনের মধ্যে আবার ম্যাচ খেলা, এটা খুবই অপ্রীতিকর।এমনটা অনেকদিন ধরেই হয়ে আসছে। দল হিসেবে আমরা উপভোগ করতে চাই, উদযাপন করতে চাই, ওই সময়টা প্রয়োজন। কারণ এর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি আমরা। টুর্নামেন্ট যখন চলছিল শুধু তখনই নয়, এর আগে, পুরো টুর্নামেন্ট ঘিরে প্রস্তুতির বিষয় ছিল।’
আইসিসির দেওয়া ব্যস্ত সূচি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসনের। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমি একবার বলেছিলাম যে, সময়সূচীটি ভয়ঙ্কর এবং আমি মানিয়ে নিতে পারছি না, তাই আমি ওডিআই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলাম। এরপর ইসিবি আমাকে টি-টোয়েন্টি থেকে নিষিদ্ধ করেছিল।
টানা তিন ফরম্যাটে ধারাবাহিক খেলার আত্মবিশ্বাস খুব বেশি ক্রিকেটার পাচ্ছেন না। অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারতো জানিয়ে দিয়েছেন এক বছরের মধ্যে বিদায় বলতে চান টেস্ট ক্রিকেট। সম্ভবত পরের অ্যাশেজ সিরিজ শেষে গুছিয়ে রাখবেন সাদা পোষাক।
অতিরিক্ত ম্যাচ খেলায় ইনজুরিতে পড়ছে ক্রিকেটাররা। এর ফলে নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে ফলাফলে। যেমন তিন সংস্করণে দাপিয়ে বেড়া পাক ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদি পড়েছে ইনজুরির বেড়াজালে।
অতিরিক্ত চাপে ভালো কাজ করা নিশ্চয়ই কঠিন। সময়ের ব্যবধানে চাপের কবলে পারফরম্যান্স খারাপ হবে ক্রিকেটারদের। একটা সময় বোর্ডও আস্থা হারাবে। সমস্তকিছু ভাবনায় স্টোকসের মত অনেকেই অল্প সময়ে বিদায় জানাবে বাইশ গজের লড়াইকে। এমনটা চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও হারাতে পারে নিজস্ব গতি।
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: