অসহায় আত্নসমর্পণ শ্রীলঙ্কার, সিরিজ জিতল পাকিস্তান
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩৯

নট আউট ডেস্কঃ কলোম্বোয় দাপট অব্যাহত রেখে চারদিনেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে সফরকারী পাকিস্তান। লঙ্কানদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে দুই টেস্টের সিরিজে নিজেদের করে নিয়েছে বাবর আজমের দল। শ্রীলঙ্কাকে ১৬৬ রানে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৫৭৬ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। জবাবে নোমান আলি ও নাসিম শাহ'র বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ফলে কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস এবং ২২২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
৫ উইকেটে ৫৬৩ রান নিয়ে চর্তুথ দিনের খেলা শুরু করে অপরাজিত থাকা দুই পাক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আগা। দিনের শুরুতেই এই দু'জন গড়েন অবিচ্ছিন্ন শতাধিক রানের জোট। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাতেই ৫৭৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ১৫ চার ও ১ ছক্কায় সালমান আগা অপরাজিত থাকেন ১৩২ রানে। ৪ চার ও ১ ছক্কায় মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ৫০ রান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আসিথা ফার্নান্দো ৩ ও প্রবাথ জয়সুরিয়া নেন ২ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা ৪১০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। দুই ওপেনার নিসান মাধুশকা ও দিমুথ করুনারত্নের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনাও করে স্বাগতিকরা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান যোগ করেন এই দু'জন। ৩৩ রান করা মাধুশকার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর ৪১ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেও। দু'জনকেই ফেরান পাক স্পিনার নোমান আলি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর নোমানের স্পিন বিষে তাসের ঘরের মতোই ভেঙেছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডার। এরপর নোমানের সঙ্গে উইকেট উৎসবে যোগ দেন নাসিম শাহ। এই দু'জন মিলে লঙ্কান ব্যাটারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতে উঠেন। স্রোতের বিপরীতে একাই লড়াই করেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। তাতে কেবল হারের ব্যবধানটাই কমিয়ে আনতে পারে শ্রীলঙ্কা।
শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ফলে, ইনিংস ও ২২২ রানের বড় জয় পায় পাকিস্তান। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথিউজ। পাকিস্তানের পক্ষে একাই ৭ উইকেট নেন নোমান আলি। নাসিম শাহ'র শিকার ৩ উইকেট।
-নট আউট/টিএ
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: