03/12/2025 ভিতু সিনিয়রদের চাপে ডারবানে আগে বোলিং
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫১
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট: ডারবানের কিংসমিডে ২২০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনে নাকাল হয়ে মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই টস জিতে ব্যাটিং না নিয়ে বোলিং করার সিদ্ধান্তটা সমালোচিত হয়েছিল। এমন হারের পর সেটি আরও প্রকট হয়েছে। যদিও ম্যাচের পর এই সিদ্ধান্তের দায়ভার নিজের উপরই নিয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
কিন্তু আড়ালে এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে আছেন কয়েকজন ভীতু সিনিয়র ক্রিকেটার। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই জানিয়েছেন এই তথ্য।
রাসেল ডমিঙ্গো, অ্যালান ডোনাল্ডরা দলকে বলে দিয়েছিলেন, টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে। কিন্তু বাংলাদেশের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার আগে ব্যাটিং করতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাদের চাপেই অধিনায়ক মুমিনুলকে বোলিং নিতে হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের টেস্ট দলে এখন সিনিয়র ক্রিকেটার বলতে রয়েছেন শুধু মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল। যার মধ্যে তামিম অসুস্থতার কারণে ম্যাচটাই খেলেননি। আর নতুন বলে মুশফিকের ভীতি নতুন ঘটনা নয়। অধিনায়ক হিসেবেও রক্ষণাত্মক ছিলেন মুশফিক। তাই অধিনায়কত্ব স্থায়ী হয়নি তার।
টস জিতে কেন বোলিং? জানতে চাইলে ক্রিকবাজকে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘সামনাসামনি না বসে বলা কঠিন। আমি জানি ডমিঙ্গো ও ডোনাল্ড দুজনই উইকেট সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে এবং সাজেশন দিয়েছে এখানে পরের দিকে ব্যাটিং করা কঠিন হবে কারণ এখানে টার্ন হবে। সেখানে খালেদ মাহমুদ ও জালাল ভাই (জালাল ইউনুস) ছিল, আমি কি বলতে পারি।’
অগ্রজদের আড়াল করতে মিডিয়ায় নিজের উপর দায় নিয়েছেন মুমিনুল। পাপন বলেন, ‘অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার কোচিং স্টাফরা তাদের কন্ডিশন ভালো জানে। আমি শুনলাম মুমিনুল বলেছে, এটা তার নিজের সিদ্ধান্ত (আগে বোলিং)। আমি জানি কিছু সিনিয়র ব্যাটসম্যান বলেছিল তার আগে ব্যাটিং করতে চায় না। এটাই ছিল মূল বিষয়। তাই হয়তো ও সিনিয়রদের কথা শুনেছে, কারণ তাকে তো দলটা নিয়ে খেলতে হবে। আমি কি করতে পারি। আমার কিছু বলার নেই। এবং তামিম শেষ মুহূর্তে ছিটকে গেছে। কিন্তু তারপরও তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারতো।’
সিনিয়র ক্রিকেটাররা কোচদের কথা শুনেন না। যেটি খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত মনে করেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই তাদের মাটিতে তাদের কথা (দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ) না শোনা বাজে দেখায়। কোচদের কথাকে গুরুত্ব না দেয়ার এই অবস্থান থেকে যদি আমরা না বের হতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। আমি যখন কোচের সঙ্গে কথা বলি তখন অনেক পার্থক্য থাকে (সিনিয়র ক্রিকেটার ও কোচের বক্তব্যে)। আমার মনে হয় আমাদের বসতে হবে। আমি যেটা জেনেছি ড্রেসিংরুমের বিষয়গুলোর উন্নতি হয়েছে, আগে ছিল তার চেয়ে। কিন্তু কোচদের সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করা, আমি নিশ্চিত নই আসলে কি ঘটছে?’
-নট আউট/এমজেএ/টিএ