03/13/2025 এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখেন মিরাজ
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২১ জুলাই ২০২২ ১০:৫০
স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ সাকিব আল হাসানের অতি-মানবীয় পারফরম্যান্সেরও পর ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের পর দেশে ফিরেই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, ২০২৩ বিশ^কাপে সেরা চারে খেলবে বাংলাদেশ।
আগামী বছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছে গোটা দেশ। পাশের দেশের চেনা কন্ডিশনে টাইগাররা ভালো করবে এমনটাই আশা সবার। মেহেদী হাসান মিরাজও বললেন, বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা অনেক। এ তরুণ স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের হয়ে এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপ জয়ের।
বুধবার দেশে ফিরে বিমানবন্দরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে সাংবাদিকদের মিরাজ বলেছেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ তো বেশি দূরে নেই। হয়তো ১ বছর ২/৩ মাস আছে। কিন্তু আমরা যেভাবে যাচ্ছি, আমি মনে করি এই প্রসেসে আগালে আমাদের সামনে বিশ্বকাপটা আরও বেশি ভালো হবে। কারণ অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও থাকবে। তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশি ভাই, রিয়াদ ভাই আছেন, তারা তো অনেক অভিজ্ঞ। তারপর আমি মুস্তাফিজ, লিটনরাও খেলেছে। মোটামুটি ভালো একটা একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলতে পারব।’
বিশ্বকাপে ভালো করাই শুধু নয় এসব বড় টুর্নামেন্ট জয়ের স্বপ্নই দেখেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করলে আমাদের নিজেদের জন্য যেরকম ভালো হবে দেশের জন্যও ভালো হবে। তারা (সিনিয়ররা) থাকতে অবশ্যই বড় একটা অর্জন করার চেষ্টা করবো। কিন্তু এটা তো আপনি বলতে পারেন না যে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নই হব। আমরা চেষ্টা করতে পারি যে, কীভাবে বিশ্বকাপটা জেতা যায়, সে পথটা আমরা বের করতে পারি। এটা তো ভাগ্যের উপর। আমরা তো স্বপ্ন দেখি এশিয়া কাপ জিতব বিশ্বকাপ জিতব।’
ওয়ানডে ফরম্যাট বলেই আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ফরম্যাটেই সবচেয়ে বেশি ভালো খেলে টাইগাররা। শেষ ১৫ ওয়ানডেতে ১২টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে ৩টি।
মিরাজের কন্ঠেও ধরা পড়ল সেই আত্মবিশ্বাস, ‘ওয়ানডেটা যেহেতু আমরা অনেকদিন ধরে ভালো খেলে আসছি। ওয়ানডেতে সবাই খুব ভালো টাচে থাকে, সবাই ওই বিশ্বাসটা করে। আমাদের ভেতর যেসব খেলোয়াড় আছে, অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও আছে যারা সব সময় খেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্য ওয়ানডেতে আমরা কমফোর্টেবল। সব সময়ই ভালো ক্রিকেট খেলি। ৪/৫ বছর ধরে ভালো রেজাল্টও করে আসছি। যে জিনিসটা সফলতা পায় অবশ্যই ওই জিনিসটায় সবাই বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকে।’