03/13/2025 বোলিং নৈপুণ্যে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ
নট আউট ডেস্ক
১১ আগস্ট ২০২২ ০৬:০০
নট আউট ডেস্কঃ আগের দুই ম্যাচেই প্রত্যাশানুযায়ী বোলিং করতে পারেনি টাইগার বোলিং ইউনিট। জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হেরে সেই খেসারত দিতেও হয়েছে বাংলাদেশকে৷ তৃতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশকে ২৫৬ রানে আটকে দিয়ে হোয়াইটওয়াশের ভয়টা ধরিয়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে বোলাররা। তবে এদিন হয়নি আগের দুই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি।
এবাদতের বিধ্বংসী শুরুর পর, মুস্তাফিজের দুর্দান্ত স্পেল৷ তাতেই ১৫১ রানে গুটিয়ে গেল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। ১০৫ রানের জয়ে বাংলাদেশ কেবল হোয়াইটওয়াশের লজ্জাই এড়ায়নি, বেঁচেছে যেন হাফ ছেড়ে। ফেরার ম্যাচে মুস্তাফিজ একাই নেন চার উইকেট। অভিষিক্ত এবাদত ও তাইজুলের শিকার ২টি করে উইকেট।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে প্রায় তিনশ করে রান তুলেও ম্যাচ হারতে হয়েছিল টাইগারদের। সেখানে এদিন বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ২৫৬তেই আটকে দেয় জিম্বাবুয়ে বোলাররা। ফলে, জেগেছিল হোয়াইটওয়াশের বড় শঙ্কা৷
২৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে, এদিনও বোর্ডে দশ রান তোলার আগেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। হাসান মাহমুদের পর, মিরাজের আঘাতে দলীয় সাত রানেই দুই ওপেনারকে হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর বোলিংয়ে এসে স্বপ্নের শুরু করেন অভিষিক্ত এবাদত হোসেন৷ ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন মাধভেরের উইকেট। পরের বলেই ইনফর্ম সিকান্দার রাজার স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন এই সিলেটি এক্সপ্রেস।
আগের দুই ম্যাচেই আনবিটেন জোড়া শতক হাঁকানো রাজা, এদিন ফিরেন শূন্য রানে। রাজার বিদায়ে ম্যাচের মোমেন্টাম পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। স্পিনার তাইজুলের জোড়ার সঙ্গে মুস্তাফিজের তিন উইকেট শিকারে, বোর্ডে একশ তোলার আগেই ৯ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে।
দশম উইকেটে ভিক্টর নিয়াচি ও নাগারাবার ব্যাটে, খানিকটা দেরিই হয়েছে বাংলাদেশের জয় তুলে নিতে৷ কেননা শেষ জুটিতে এই দু'জন মিলে যোগ করেন ৬৮ রান। শেষ পর্যন্ত এই দুই জনের ব্যাটে চড়েই সম্মানজনক সংগ্রহ গড়ে জিম্বাবুয়ে। ২৬ রান করা নিয়াচিকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের কপিনে শেষ পেরেকটি মারেন মুস্তাফিজ।
তাতেই ৩২.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন নাগারাবা। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেন ৪ উইকেট। তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় দলকে শুভ সূচনা এনে দেয়। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন মিলে গড়েন ৪১ রানের জুটি। এরপর ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে পড়ে ব্যাক্তিগত ১৯ রানে ফিরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তামিমের বিদায়ের পর, দলীয় পঞ্চাশ পার করার আগেই আর দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
ইনিংসের দশম ওভারে ব্র্যাড ইভান্সের শিকার হয়ে এক ওভারেই ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। দু'জনই খুলতে পারেনি রানের খাতা। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়েন বিজয়। একপ্রান্ত রিয়াদ আগলে রাখলেও, অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাট করেন বিজয়। ৪৮ বলেই তুলে নেন সিরিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
দারুণ ব্যাট করা বিজয় এরপর ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। তবে ৭১ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কা ব্যাক্তিগত ৭৬ রানে লুক জঙ্গের শিকার হয়ে ফিরেন। বিজয়ের বিদায়ের পর আফিফের সঙ্গে দলের হাল ধরেন রিয়াদ। দু'জন মিলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। ৬৯ বলে ৩৯ রান করা রিয়াদের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর একপ্রান্ত আগলে একাই লড়াই করেন আফিফ,অন্যপ্রান্তে বাকিরা থাকেন আসা যাওয়ার মিছিলে। মিরাজ ১৪ রান করে আফিফকে দেন কিছুটা সঙ্গ।
একাই লড়াই করা আফিফ তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত আফিফের ৮১ বলে অপরাজিত ৮৫ রানে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলতে পারে ২৫৬ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্র্যাড ইভান্স ও লুক জঙ্গে নেন ২টি করে উইকেট।
-নট আউট/টিএ