03/13/2025 পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডমিঙ্গো
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ আগস্ট ২০২২ ২০:০২
স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ বাংলাদেশের হেড কোচের পদটা আর আকর্ষণ জাগাতে পারছে না রাসেল ডমিঙ্গোর মনে। যেই রোমাঞ্চ নিয়ে ২০১৯ সালে এসেছিলেন ঢাকায়, সেটি বাস্তবতার যাতাকালে পিস্ট হয়ে উড়ে গেছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচের চাকরি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডমিঙ্গো।
দেশের জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন এই প্রোটিয়া কোচ নিজেই। বাংলাদেশে, বিসিবিতে আর ফিরতে চান না তিনি। এখানে নিজের সময় শেষ হয়ে এসেছে মনে করেন তিনি।
যদিও বিসিবি এই বিষয়ে এখনও অবগত নয়। কারণ ডমিঙ্গোর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো পদত্যাগপত্র এখনও বিসিবির কাছে আসেনি। বিসিবি তাকে টেস্ট ও ওয়ানডের হেড কোচ হিসেবেই জানে।
জানতে চাইলে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোনো পদত্যাগপত্র পায়নি। ও চাকরি করে বোর্ডের, পদত্যাগ করলেও সেটা বোর্ডকে জানাবে।
গত সোমবার ভোর রাতে ছুটিতে ঢাকা ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চলে গেছেন ডমিঙ্গো। পরিবারের কাছে গিয়েই নাকি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সার্বিক পরিবেশ অবশ্য তার জন্য ঘুমোট হয়ে পড়েছিল। বিসিবি তাকে হেড কোচ পদে রেখেছে বটে, কিন্তু সরিয়ে দেয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে। আগামী তিন মাস এই ফরম্যাটের বাইরে খেলা নেই বাংলাদেশ দলের, তাই কার্যত কর্মহীন হয়ে পড়েন ডমিঙ্গো। টেস্ট ও ওয়ানডে দলের দায়িত্ব তার হাতে থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল বিসিবি।
ডমিঙ্গোও বিসিবির সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো এমন সিদ্ধান্ত একজন কোচের জন্য অপমানজনক, কোনোভাবেই সুখকর নয়।
ঢাকায় বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় করেছেন তিনি, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন, সবকিছুই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। তবে দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে মত বদলেছেন ডমিঙ্গো। বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বিসিবির সঙ্গে ডমিঙ্গোর চুক্তিটা ছিল ২০২৩ ওয়ানডে বিশ^কাপ পর্যন্ত। সর্বশেষ দুই বছরের চুক্তির হিসেবে প্রথম বছর ছিল গ্যারান্টেড, তাকে চাকুরিচ্যুত করা যাবে না, করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গ্যারান্টেড পর্ব শেষ হবে চলতি বছরের নভেম্বরে। অবশ্য দুই পক্ষ রাজি থাকলে যে কোনো মুহূর্তেই সেই চুক্তি বাতিল হতে পারে। তবে একপক্ষ তথা বিসিবি তাকে সরাতে গেলেই গচ্চা দিতে হতো মোটা টাকা।
-নট আউট/এমজেএ/টিএ