03/14/2025 আট ব্যাটারের নয় শতকের গল্প
মশিউর রহমান শাওন
১৭ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৩৪
মশিউর রহমান শাওন: শতক! ব্যাট-বলের খেলায় ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় বড় প্রাপ্তিগুলোর একটি৷ প্রসঙ্গ যখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তখন এই প্রাপ্তির দৈর্ঘ্য আরও বেশি চওড়া, মর্যাদাও অনেক৷ কেননা সংস্করণটি চার-ছক্কার হলেও বাকি দুই ফরম্যাটের চেয়ে এখানে চিন্তা-ভাবনার সময় খুবই কম৷ যার ফলে ভুল হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি৷ তবে বিশ্বজুড়ে অনেকেই অনেকবার রানের সংখ্যাকে নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে৷ তবে বৈশ্বিক আসরে সংখ্যাটা সীমিত৷ এখন পর্যন্ত ৮ ব্যাটার মিলে হাঁকিয়েছেন ৯ শতক৷
ক্রিস গেইল: টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইলকে নতুন করে পরিচয় করে দেওয়ার কিছুই নেই৷ তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়৷ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও তার দখলে৷ যার ফলে ক্রিকেট যতদিন রয়েছে তাকে অবধারিত ভাবে মনে রাখতেই হবে৷
২০০৭ সালে উদ্বোধনী আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গেইল করেছিলেন ৫৭ বলে ১১৭ রান৷ এই মহাকাব্যিক ইনিংসে ১০ ছয়ের পাশাপাশি তিনি মেরেছিলেন ৭টি চার৷ যদিও সেই ম্যাচে তার দল পায়নি কাঙ্খিত জয়৷ বৈশ্বিক এই আসরে এখন পর্যন্ত গেইল একমাত্র খেলোয়াড় যার নামের পাশে রয়েছে দুই শতক৷
২৷ সুরেশ রায়না- ভারতের বাঁহাতি এই ব্যাটার ২০১০ সালে বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন সেঞ্চুরি৷ ৬০ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ৯ চারের পাশাপাশি বল হাওয়ায় ভাসিয়ে সীমানা ছাড়া করেছিলেন ৫ বার৷ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন রায়না৷
৩৷ মাহেলা জয়াবর্ধনে: শ্রীলঙ্কান গ্রেট মাহেলা জয়াবর্ধনে এই তালিকার তৃতীয় ক্রিকেটার৷ ২০১০ সালের সেই আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন ৬৪ বলে ১০০ রান৷ এই শতক তিনি সাজিয়েছিলেন ১০ চার ও ৪ ছয়ে৷
৪৷ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শতক হাঁকানো খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালামের৷ ২০১২ সালে চতুর্থ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ চার ও ৭ ছয়ে করেছিলেন ১২৩ রান৷ এই ইনিংসে তিনি বল খেলেছিলেন ৫৮টি৷ ম্যাচে তিনি রান তুলেছেন ২১২ স্ট্রাইকরেটে৷ এমন দ্রুততার সাথে রান করতে পারেনি লিস্টের অন্য কেউ৷
৫৷ অ্যালেক্স হেলস: ইংল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে শতক হাকিয়েছিলেন অ্যালেক্স হেলস৷ ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকার বিপক্ষে করেছিলেন ১১৬ রান৷ এই ইনিংসটি সাজাতে তিনি মোকাবেলা করেছেন ৬৪ বল৷ যেখানে ছিল ১১ চার ও ৬টি ছয়৷
৬৷ আহমেদ শেহজাদ: পাকিস্তানের প্রথম ও বর্তমান সময় পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটার হিসেবে এই তালিকায় রয়েছেন আহমেদ শেহজাদ৷ ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ৫ম আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬২ বলে করেছিলেন ১১৬ রান৷ ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার ও ৫ ছয়ে৷ এই শতকে পাকিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণে শতক করার কীর্তি গড়েছিলেন তিনি৷
৭৷ তামিম ইকবাল: ২০১৬ সালে হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপের ৬ষ্ঠ আসরটি ব-দ্বীপের সমর্থকদের জন্য বিশেষ কিছু৷ এই আসরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শতক করেছিলেন তামিম ইকবাল৷ যা এখন পর্যন্ত এ ফরম্যাটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের একমাত্র শতক৷ ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ৬৩ বলে ১০ চার ও ৫ ছয়ে করেছিলেন ১০৩ রান৷ এই শতকে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণে শতক করার কীর্তি গড়েছিলেন তিনি৷
৮৷ ক্রিস গেইল: নিজেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইউনিভার্স বস দাবি করা ক্রিস গেইল বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় শতক করেছিলেন ৬ষ্ঠ আসরে৷৷ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৮ বলে পূরণ হয়েছিল তিন সংখ্যা৷ তান্ডবময় ইনিংস সাজানো ছিল ১১ ছয় ও ৫টি চারে৷
৯৷ জস বাটলার- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ শতকের মালিক ইংল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক জস বাটলার৷ ২০২১ সালে সপ্তম আসরে শ্রীলংকার বিপক্ষে এই ডানহাতি ব্যাটার ৬৭ বলে করেছিলেন ১০১ রান৷ ইনিংসটিতে
ছিল সমান সংখ্যক ৬টি চার ও ছয়৷ এই শতকে ইংল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণে শতক করার কীর্তি গড়েছিলেন তিনি৷
ক্রিকেটের ক্ষুদে সংস্করণের জনপ্রিয়তা ব্যাপক৷ আক্রমণাত্মক ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটে শতকের সংখ্যা বাড়বে দ্রুত এমন বিশ্বাস করা যেতেই পারেই৷ ধুমধাড়াক্কা, মারকাটারি ব্যাটিংয়ের এই আসরের সব খবরা-খবর জানতে চোখ রাখুন নট আউটের পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে৷
-নট আউট/এমআরএস