নট আউট ডেস্কঃ জিততে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৮৫ রান। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটনের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরুও করে বাংলাদেশ। ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে ঝড়ের গতিতে রান তুলে মাত্র ২১ বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। তবে অন্যপ্রান্তে শান্ত'র টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। 

৭ ওভার শেষ বাংলাদেশ বোর্ডে ৬৬ রান তুলতেই ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। তাতেই দীর্ঘক্ষন বন্ধ থাকে খেলা। ডিএলএস মেথডে তখনও বাংলাদেশ এগিয়েই ছিল ১৭ রানে। ঘণ্টা খানেক বাদে বৃষ্টি থামলে বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় নতুন করে ১৫১ রানের। ফলে জিততে বাংলাদেশকে করতে হতো ৯ ওভারে ৮৫ রান। বৃষ্টির পর ব্যাটিংয়ে নেমেই দুর্দান্ত ব্যাট করা লিটন কাটা পড়েন রান আউটে। ফেরার আগে লিটন খেলেন ৬০ রানের ইনিংস  

এরপর আউটফিল্ড ভেজা থাকায় বাংলাদেশের ব্যাটারদের রান তুলতে করতেছে হয়েছে সংগ্রাম। ফলশ্রুতিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ১৬ ওভারে ১৪৫ রানে থামে বাংলাদেশ। ফলে বৃষ্টি আইনে ৫ রানের জয়ে সেমিতে এক পা দিয়ে রাখল ভারত।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভারতীয় ব্যাটারদের ছেপে ধরে পেসার তাসকিন আহমেদ। সেই সাফল্য বাংলাদেশ পেত পারত ও ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই। তবে তাসকিনের বলে রোহিতের তুলে দেওয়া বল হাতছাড়া করেন হাসান মাহমুদ। অবশ্য পরের ওভারেই সেই রোহিতকে ফিরিয়েই শাপমোচন করেন হাসান। 

শুরুতেই রোহিতকে হারিয়ে ভারতের চাপ আরও বাড়ায় তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিং। এরপর সেই চাপ ভারত কাটিয়ে উঠে রাহুল-কোহলির ব্যাটে চড়ে। এর মাঝেই কোহলি করেন বিশ্বরেকর্ড। লঙ্কান গ্রেট মাহেলা জয়াবর্ধনকে টপকে এদিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বনে যান এই ভারতীয় তারকা।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রাহুল-কোহলি গড়েন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ফর্মের খোঁজে থাকা রাহুল। এরপর এই ওপেনারকে ফেরান সাকিব আল হাসান। রাহুল ফিরলেও থেমে থাকেনি ভারতের রানের চাকা। সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে কোহলি পার করেন দলীয় একশ রানের গণ্ডি। 

৩০ রান করা সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন সাকিব। তবে শেষ দিকে কোহলির ব্যাটে চড়েই রানের পাহাড় গড়ে ভারত। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ভারতীয় তারকা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের সংগ্রহ গড়ে ভারত।

৮ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ নেন তিনটি উইকেট। সাকিব নে৷ দুইটি উইকেট।

-নট আউট/টিএ

বিস্তারিত আসছে