03/18/2025 যেকারণে ‘৫ উইকেট’ পাওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন ইবাদত
নট আউট ডেস্ক
১৬ জুন ২০২৩ ০৪:৩২
নত আউট ডেস্কঃ ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনেই জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে হ-য-ব-র-ল ব্যাটিংয়ে শেষ ৯ রান তুলতেই বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় ৩৮২ রানে। জবাবে ইবাদত-শরিফুলদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে দলীয় দেড় শ পার করার আগেই গুটিয়ে যায় সফরকারী আফগানিস্তান।
আফগানদের অল্পতে আটকে দেওয়ার কারিগর এদিন ছিলেন পেসার ইবাদত হোসেন। ৪৭ রানে সিলেটের এই পেসার নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর একটি উইকেট পেলেই টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট শিকার করতে পারতেন সিলেটের এই পেসার। এই নিয়ে খানিক আফসোস থাকারই কথা ইবাদত। যদিও দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই পেসার জানিয়েছেন, কোন আফসোস নেই তার।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ৫ উইকেট না পাওয়ায় কোনো আফসোস কাজ করছে কিনা? জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘না, আলহামদুলিল্লাহ। আফসোস নেই।’
অবশ্য ৫ উইকেট না পাওয়ার পেছনে একটা ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছেন ইবাদত হোসেন। মূলত, জরিমানা থেকে বাঁচতে স্পিনারদের দিয়ে বোলিং তাড়াতাড়ি বোলিং করানোই ছিল দলের উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা দুই ওভার পিছনে ছিলাম। আমরা যদি পিছিয়ে থাকি তাহলে তো সমস্যা, এজন্য ক্যাপ্টেন দুই পাশ থেকে দুজন স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করেন। টিম ফার্স্ট, সেদিক দিয়ে ঠিক আছে। যেহেতু ব্যক্তিগত অর্জনের দিক থেকে আমার কাছে দলের চাওয়াটা বড় বিষয়।’
মিরপুরে সচরাচর বাংলাদেশ স্পিন বান্ধব উইকেট তৈরি করে থাকে। তবে আফগানদের বিপক্ষে দেখা গেছে তার ব্যতিক্রম। উইকেটে পেসারদের জন্য সাহায্য ছিল। ইবাদত-তাসকিনদের বোলিংয়ে তাই এক্সট্রা স্লিপ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। এনিয়ে খানিকটা রোমাঞ্চিতও হয়েছেন ইবাদত।
তিনি বলেন, ‘আমার দেখা এই প্রথম যে এই ধরনের উইকেট (দেশের মাটিতে) আমরা পেয়েছি। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যে, তিনটা ফাস্টবোলার এরকম উইকেটে খেলা। এটাও আমাদের অনেক বড় সৌভাগ্য। আমরা চেষ্টা করেছি যে, ওদের যত কম রানে আউট করা যায়। আসলে প্ল্যানিংটা কাজে লাগাতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।’
-নট আউট/টিএ