03/18/2025 নিশ্চিত জয় ভেবে প্যাড খুলে ফেলেছিলেন শরিফুল
নট আউট ডেস্ক
১৬ জুলাই ২০২৩ ০৪:২০
নট আউট ডেস্কঃ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয়টা আসতে পারত ৫ উইকেটের। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত জয়টা এসেছে ২ উইকেটের। শরিফুল ইসলামের জয়সূচক বাউন্ডারিতে হারতে বসা ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।
সিলেটে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে দলীয় অনুশীলন না থাকায় শনিবার ক্রিকেটাররা হোটেলে কিংবা ঘুরেই কাটিয়েছেন সময়। এদিন আগের রাতের গল্পটাই শেয়ার করেছেন বাংলাদেশকে জয় এনে দেওয়া শরিফুল ইসলাম। যদিও আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে খুব একটা সফল ছিলেন না এই পেসার, কিন্তু স্রেফ একটা বল খেলেই আলোচনায় এখন তিনি।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৬ রানের। ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে বাউন্ডারি মেরে মিরাজ সেই সমীকরণ নিয়ে আসেন ৫ বলে ২ রানে। নিশ্চিত জয় ভেবেই প্যাড খুলে নিশ্চিত মনে জয়ের অপেক্ষায় ছিলেন শরিফুল। কিন্তু অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে সেই শরিফুলের ব্যাটেই বাংলাদেশ পেয়েছেন জয়সূচক বাউন্ডারি। কেননা এর আগের তিন বলেই মেহেদী মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ ক্যাচ তুলে দিয়ে আফগান পেসার করিম জানাতকে দিয়েছেন হ্যাটট্রিক উপহার।
ম্যাচের পরদিন সেই গল্প শোনাতে গিয়ে শরিফুল বলেছেন, ‘১ ওভারে যখন ৬ রান লাগে, এরপর মিরাজ ভাই চার মারে প্রথম বলেই, আমি তখন নিশ্চিত ছিলাম যে আমরা জিতে যাব। আমি, মুস্তাফিজ ভাই, নাসুম ভাই ভেতরে রিল্যাক্স… প্যাডও খুলে ফেলেছিলাম। দেখলাম যে মিরাজ ভাই আউট হয়ে গেল। তার পর আস্তে আস্তে প্যাড পরতে লাগলাম। তাসকিন ভাই নামলেন। আমি নিচে গেলাম।’
‘নাসুম ভাই নামলেন। উনিও আউট হয়ে গেলেন। আমি যখন যাচ্ছিলাম, কোচ আমাকে বললেন, ‘তুমি পারবা, স্রেফ ব্যাটে বলে সংযোগ করবে, তাহলে সহজ হয়ে যাবে।’ যোগ করে বলেছেন শরিফুল।
২ বলে ২ রানের সমীকরণে শরিফুল যখন মাঠে নামেন তখন সাহসটা দিয়েছিলেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা তাওহীদ হৃদয়। চাপকে জয় করেই এরপর দলকে জয় এনে তিনি। তাওহীদ হৃদয় প্রসঙ্গে শরিফুল বলেছেন, ‘এটা কোনো বিষয় নয়, কোনো চাপও না। ২ বলে ২ রান হবেই। তুমিই পারবা। আর ব্যাটে না লাগলেও দৌড় দেবে।’ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে, তুমি বিশ্বাস রাখো, আমি পারব।’ পরে তো আল্লাহর রহমতে হয়ে গেছে।’
-নট আউট/টিও