ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১

নেদারল্যান্ডস জয়কে খাটো করে দেখতে নারাজ তাসকিন!

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২২ ১৯:২৭

তাসকিন আহমেদ। ছবি: টুইটার তাসকিন আহমেদ। ছবি: টুইটার

নট আউট ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকেই, এই সংস্করণে নিয়মিত খেলে এসেছে বাংলাদেশ। তবে, প্রথম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক জয় ছাড়া, মূল পর্বে জয়ের দেখা পায়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথম সাত আসরের শৃঙ্খল ভাঙার প্রতিজ্ঞা করেই এবার অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ খেলতে যায় সাকিব-তাসকিনরা। 

অবশেষে প্রথম আসরের পর, বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে গিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। সময়ের হিসেবে যা দীর্ঘ ১৫ বছর পর। চলমান বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। 

নিঃসন্দেহে তাই এই জয়টি ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় এই জয়ের রুপকার ছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। আগে ব্যাট করা বাংলাদেশের মাঝারি সংগ্রহটাই তাসকিনের বদৌলতে ডাচদের জন্য হয়ে যায় পাহাড়সম। ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে পর পর দুই উইকেট নিয়ে ডাচদের যেমন ফেলেছিলেন ব্যাকফুটে, তেমনি এই গতি তারকা করেছেন ইতিহাসও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ইনিংসের প্রথম দুই বলেই উইকেটে নেওয়া প্রথম বোলারও এখন তাসকিন।

তাসকিনের এমন দারুণ শুরু অব্যাহত ছিল পুরো ম্যাচ জুড়েই। নিজের ব্যক্তিগত চর্তুথ ও শেষ ওভার করতে এসে এই পেসার নিয়েছেন আরও দুটি উইকেট। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অনুমেয়ভাবেই স্পিড স্টারের হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা। বাংলাদেশের করা ১৪৪ রানের জবাবে ডাচরা থেমেছে এদিন ১৩৫ রানে।

টানা ম্যাচ হারের পর এমন স্বস্তির জয়। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ রুমের ড্রেসিংরুমেও বইছে সেই স্বস্তির নিশ্বাস। ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্যাচসেরা তাসকিনও বলেছেন সময়টা এখন উদযাপনের। সেই সাথে এই জয়কে বড় জয় হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন এই গতি তারকা।

তিনি বলেছেন, ‘এটা স্বস্তির চেয়ে বেশি হচ্ছে উদযাপনের করা। কারণ এর আগে আমরা সুপার টেন-টুয়েলভে কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। এটা আমাদের জন্য বড় জয়। আর টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলকে ছোট করার উপায় নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাদ পড়ে গেছে। সুতরাং এটা আমাদের জন্য বড় জয়। প্রতিটা ম্যাচই, যার সঙ্গে খেলি না কেনো, জয়ের জন্যই খেলি। আমরা যদি প্রক্রিয়া মেনে চলি, তাহলে সামনেও ভালো করতে পারব আশা করি।’

উইকেটে ও কন্ডিশন অনুযায়ী বল করে সফল হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাসকিন। তিনি আরও বলেছেন, ‘উইকেট দেখে মনে হয়েছে এখানে ১৪০-১৫০ ভালো স্কোর। বোলিংয়ের শুরুতে আমি মৌলিক দিকটা ঠিক রেখে শুরু করতে চেয়েছিলাম। নতুন বলে ভালো জায়গা থেকে একটু সুইং করানো। মৌলিক দিকটা ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেছি। উইকেট, কন্ডিশন অনুযায়ী যা চাহিদা ছিল, সে অনুযায়ী বোলিং করছিলাম।’

ইনিংসের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নেওয়ার পর, তাসকিনের সামনে সুযোগ ছিলে ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকারেরও। তবে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করার দিনে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেই খুশি এই পেসার।

আশা ছিল (হ্যাটট্রিক+পাঁচ উইকেট), অবশ্যই ছিল। তবে একই প্রক্রিয়ায় বল করেছি। আসলে হ্যাটট্রিক, পাঁচ উইকেটে একটু ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে। তবে আলহামদুলিল্লাহ জিততে পেরেছি। জেতানোর পেছনে অবদান ছিল, তাতেই খুশি আমি।’

আমরা গত কয়েকটি ম্যাচ দেখছিলাম। নতুন বল এখানে উপমহাদেশের চেয়ে বেশি সুইং হয়। পেসাররা সবাই কঠোর পরিশ্রম করছিল। আমরা নিউজিল্যান্ডেরও কিছু সময় কাটিয়েছি। এখানে এসে চেষ্টা করেছি মৌলিক দিকগুলো যেন ঠিক থাকে। আমরা সবাই বোলিং ইউনিট হিসেবে উন্নতি করছি। সবাই ভালো করছি। সবার মনোযোগ ভবিষ্যতেও এই উন্নতিটা ধরে রাখা।’ যোগ করে বলেন তাসকিন।

 

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

দ. আফ্রিকার হারে জমে উঠল সেমির লড়াই

শাদাবের অলরাউন্ডার নৈপুণ্যে জিতল পাকিস্তান। এই জয়ে সেমির স্বপ্ন

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ বলে হারল পাকিস্তান! 

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল পাকি...

হারিসের ধারাবাহিকতায় ভাঙতে পারে বাবর-রিজওয়ান জুটি

যেভাবে হারিস ব্যাটিং করেছে, তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সে সাউথ আফ্রিকার...